BD Prime News
ঢাকাThursday , 16 February 2023
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খেলা
  7. জাতীয়
  8. বাণিজ্য
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সারাদেশ
  15. স্বাস্থ্য

চট্টগ্রামে লাইনচ্যুত রেলওয়ের তিনটি ওয়াগন ২০ ঘণ্টা পর উদ্ধার

Link Copied!

চট্টগ্রামে লাইনচ্যুত রেলওয়ের তিনটি ওয়াগন ২০ ঘণ্টা চেষ্টার পর উদ্ধার করতে পেরেছে রেলওয়ে। তবে ওয়াগনে থাকা জ্বালানি তেল খালে ছড়িয়ে পড়েছে।

ছড়িয়ে পড়া তেল সংগ্রহে বৃহস্পতিবার কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি রেলওয়েসহ কোনো সরকারি সংস্থাকে। বিভিন্ন লোকজনকে খাল থেকে তেল সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। ছড়িয়ে পড়া তেল তুলতে আধুনিক কোনো প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি নেই বলে জানিয়েছে রেলওয়ে। 

বুধবার রাতে নগরের গুপ্তখাল এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন তেল কোম্পানি থেকে তেলভর্তি ট্রেনটি হালিশহরে রেলওয়ের চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) যাচ্ছিল। ইয়ার্ড এলাকায় লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। এতে তেলবাহী তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। ৩৪ হাজার লিটার তেল ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াগনগুলোতে ডিজেল ছিল ৩০ হাজার লিটার করে। এরমধ্যে দুইটি ওয়াগনের অধিকাংশ তেল নিচে পড়ে গেছে। অন্যটির কিছু তেল পড়লেও রেলওয়ে কর্মীরা ঢাকনা আটকাতে সক্ষম হওয়ায় পুরোপুরি পড়তে পারেনি। তবে তিনটি ওয়াগন থেকে কী পরিমাণ তেল খালে ছড়িয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি রেলওয়ে কর্মকর্তারা। রেলওয়ের ব্যবহারের জন্য ডিজেলের এই চালানটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

লাইনচ্যুত ওয়াগন উদ্ধারে কুমিল্লার লাকসাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন নিয়ে আসা হয়। বুধবার রাতেই শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টার মধ্যে একে একে তিনটি ওয়াগন উদ্ধার করা হয়। এ প্রসঙ্গে সিজিপিওয়াই স্টেশনের মাস্টার আবদুল খালেক বলেন, ‘তিনটি ওয়াগনের একটি রাতে, আরেকটি সকালে উত্তোলন করে রেললাইনে বসানো হয়েছে। অন্যটি বিকেলে উদ্ধার করা হয়েছে।’

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে কোনো প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি না থাকায় কিছু তেল খালে ছড়িয়ে পড়েছে। লাইনচ্যুতির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেল যাতে বেশি জায়গায় ছড়াতে না পারে সে জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।’

রেলওয়ের পূর্ব বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান বলেন, ‘তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হলেও তেল পড়েছে দুটি থেকে। তবে সব তেল পড়েনি। ওয়াগন সরিয়ে নেওয়ার সময় দেখা গেছে, অল্প কিছু তেল পড়েছে।  যেগুলো নালা হয়ে খালের পানিতে মিশেছে।’

লাইনচ্যুত ওয়াগন থেকে পড়ে যাওয়া তেল মহেশখাল ও নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে কি না তা দেখতে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তাঁরা শাখা খাল, মূল মহেশখাল ও কর্ণফুলী নদীর সংযোগস্থল  থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, শাখা খালে ইছাক ব্রাদার্স ডিপোর দেওয়া স্লুইচগেটের মুখ বন্ধ থাকায় তেল বেশি ছড়াতে পারেনি।

পরিবেশ অধিপ্তরের পরিদর্শক মো. মনির জানান, মহেশখালের মুখে থাকা স্লুইচগেটটি বুধবার থেকে বন্ধ ছিল। গেটের ভেতর খালের পানির নমুনা ও বাইরে নদীর পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন তারা। খালের পানিতে তেলের উপস্থিতি আছে। নদীর পানিতে তেল ছড়িয়েছে কি না তা পরীক্ষার পর বলা যাবে। তবে খালি চোখে নদীর পানিতে খুব অল্প পরিমাণ তেল দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

এদিকে, ওয়াগন লাইনচ্যুতির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে (ডিটিও) প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
%d