নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের ২০০৯ সালে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত খাদিজা বেগমকে গণধর্ষণ ও হত্যা এবং তার স্বামী আব্দুর রহমানকে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লোকমানকে(৩৫) কেরানীগঞ্জের নবাবগঞ্জ এলাকার থেকে ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
মঙ্গলবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মোহাম্মদপুরে বসিলায় র্যাব-২ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অধিনা অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট খাদিজা ও আব্দুর রহমানের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। এক পর্যায়ের তার স্ত্রী খাদিজাকে হত্যা করার জন্য আব্দুর রহমানের ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের হাতে তাকে তুলে দেয়। খাদিজাকে সন্ত্রাসীরা একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণের পর হত্যা করে এবং সন্ত্রাসীরা হত্যার পর চুক্তি অনুযায়ী স্বামী আব্দুর রহমানের নিকট ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আব্দুর রহমান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকেও হত্যা করে দুজনকেই পরিত্যক্ত ডোবার কচুরিপানার নিচে লাশ গুম করে রাখে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে লোকমানসহ ছয়জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অধিনায়ক আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে লোকমান পলাতক ছিলেন। উক্ত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের মৃত্যুদন্ড সাজা প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের রায় ঘোষণার পর থেকে সে আত্মগোপনে ছিল। আমরা ঘটনার বিষয়টি গুরুত্ব বিবেচনা করে আসামিদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দারা নজরদারি বৃদ্ধি করি। তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব-২ এর একটি আভিধানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের নবাবগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লোকমানকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব ধর্ষণ, খুন,অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বলে জানান তিনি।
এসএএ