ঝালকাঠিতে পদযাত্রা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাস্তায় রাস্তায় পাহারা বসিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
আহত নেতাকর্মীদের রাতে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনসহ স্থানীয় নেতারা।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, শনিবার বিকালে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে পাহারা বাসিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। হামলাকারীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নাসির উদ্দিন হাওলাদার, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোহাগ খান, যুবদল কর্মী মো. নবাব, সাইফুল ইসলাম ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সোহাগ হোসেনসহ ১০ জনকে।
একই দিন বিকালে সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে পদযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে চার নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাদল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ও সদর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারজানা ইয়াসমিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে পদযাত্রায় হামলা করে আওয়ামী লীগ। এছাড়াও যারা পদযাত্রা শেষে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল, তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। রাস্তায় রাস্তায় পাহারা বসিয়ে হামলা করে তারা। হামলা মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। এ সরকারের পতন খুব শিগগিরই হবে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, নিজেদের গ্রুপিংয়ের কারণে পদযাত্রায় মারামারি করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। উল্টো দোষ দিচ্ছে আওয়ামী লীগের ওপর। আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে শান্তি সমাবেশ করেছে।