ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালের বহির বিভাগ হয়রানি ও প্রতারণা বন্ধে অভিযান চালিয়ে নারী ও পুরুষসহ ৯ জন দালালকে আটক করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে তাদেরকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার(১৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে হা হাসপাতালের বহির্বিভাগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃতরা হলেন-মো.রিয়াজ(২২),নাঈম(২৫),সোহেল(৩৫),রাইস উদ্দিন(৪০),জয় রবী দাস(২৫), সালাউদ্দিন (৩৭), রুবিনা (৩৫), শিউলি (৩৮), ও রিতা(৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল হক। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলের বর্হিবিভাগ অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধে আজ আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় আমরা নারী ও পুরুষসহ ৯ জনকে আটক করে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।আটককৃতরা আমাদের ঢাকা মেডিকেলের কেউ নয়। ভবিষ্যতেও আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বহির্বিভাগে ওয়ার্ড মাস্টার কাজী আবু সাঈদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তখন নতুন ভবনে ছিলাম আমি বিষয়টি শুনেছি।আপনার রুমের সামনে দিয়ে এসব দালাল ঘোরা ফেরা করে আপনি এর আগে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের হয়রানীয় প্রতারণা বন্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বহির্বিভাগের কয়েকজন কর্মচারী বলেন,ওয়ার্ড মাস্টার কাজী আবু সাঈদের রুমের সামনেই দালাল চক্র সবসময় ঘোরাফেরা করলেও তিনি তাদের কিছুই বলেন না।এসব দালাল চক্রের কাছ থেকে তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে তাদেরকে কাজের সুযোগ করে দেন। এছাড়া টিকিট কাউন্টারের পাশে সরকারি স্টাফ লাভলু এই চক্র নিয়ন্ত্রণ করেন। সরকারি স্টাফ লাভলুর মা ও বর্হিবিভাগের দালালি করেন।
এসএএ/