দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল দূতাবাসের সামনে কালো তালিকাভুক্ত বাংলাদেশী বংশভূত কোরিয়ান নাগরিক আবুবক্কার সিদ্দিক রানার সাথে কোরিয়ান দূতাবাসের যোগাযোগের কারণে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার(২৮ মে) বিকাল ৪ টায় দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল দূতাবাসের সামনে বাংলাদেশ কম নিয়ে একটি পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ কমিউনিটি অভিযোগ করে বলেন, গত ২০২০ সালের (১৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিন কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস একজন জন্মসূত্রে বাংলাদেশী বর্তমান কোরিয়ান নাগরিক আবু বকর সিদ্দিক রানাকে কালো তালিকাভুক্ত করে। আবু বক্কার সিদ্দিক রানা বাংলাদেশ দূতাবাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার এবং দূতাবাসের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।

বাংলাদেশ ডিফেন্স আমাদের গর্ব।সেই গর্ব নষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিফেন্স এটাচি কালো তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে দূতাবাসে এনে প্রবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন এবং জাতির পিতার কন্যা শেখ রেহানাকে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ বলা সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির সহিত মিলিত হওয়ার জন্য কিছু সংখ্যক প্রবাসীকে চাপ সৃষ্টি করেন।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ ডিফেন্সের সুনাম রক্ষার জন্য রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ ডিফেন্সের নিকট উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করছি।বাংলাদেশ দূতাবাসের বানিজ্যিক কনস্যুলার ও একই ভাবে কোরিয়ার চেম্বার অফ কমার্সের সহ-সভাপতি ব্যবসায়ী হিরোন বাবুকে ব্যবসার কথা বলে রেস্টুরেন্টে ডেকে নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত ব্যাক্তি ও জাতির পিতার কন্যাকে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ বলা ব্যাক্তির সহিত মিলিত হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
বাংলাদেশী কমিউনিটিরা আরও বলেন,
কালো তালিকাভুক্ত করার পর থেকে আবু বক্কর সিদ্দিক রানা দূতাবাসে আসতে পারতেন না। কিন্ত বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সে দূতাবাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি। এই নিয়ে কোরিয়ার বাংলাদেশীরা প্রতিবাদ করলে দূতাবাসের ডিফেন্স এটাচি তার সাথে সবাইকে মিলে থাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন এবং বানিজ্য কনস্যুলার ও একই সুরে বিভিন্ন প্রবাসীদের গোপনে ডেকে মিলানোর উদ্যোগ নেন।
মানববন্ধনে বাংলাদেশী কমিউনিটিরা আরো জানান,দূতাবাসের সুনামের পথে বাধা সৃষ্টি করার কারনে অতি সত্বর দায়ীদের বিরুদ্ধে এবং কালো তালিকাভুক্ত ও জাতির পিতার ছোট কন্যা শেখ রেহানাকে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ বলা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবী জানান তারা।
এসএএ/